প্রকাশিত: Fri, Feb 17, 2023 4:43 PM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 1:44 PM

নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি ও অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

তরিকুল ইসলাম: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদির এই বার্তা নিয়ে এসেছিলেন বিনয় মোহন কোয়াত্রা। সেই বার্তা তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দিয়েছেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন।

নয়াদিল্লি ও ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র বলছে, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা ফরেন অফিস কনসাল্টেশনে সম্পর্কের সকল দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। তারা যৌথ স্বার্থে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সহযোগিতা ও পরামর্শ বাড়াতে সম্মত হয়েছেন।

উভয় পক্ষই ভারত সরকারের অর্থায়নে রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিট, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং মানুষে-মানুষে বন্ধনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। ভারতের জি-২০’র প্রেসিডেন্সি চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যাপারে ভারত ভীষণভাবে উন্মুখ হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার বিষয়টি ভারতকে এরই মধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি উভয় পক্ষই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের জন্য আসন্ন প্রার্থিতার ব্যাপারে পারস্পরিক সমর্থন প্রদান করতে সম্মত হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে গত দশকে ভারত ও বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় পর্যায়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চ সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে। পররাষ্ট্র সচিবের সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে সাহায্য করেছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করার সুযোগ দিয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সই করা চুক্তি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে ভারতকে বলেছি। কিন্তু তিস্তা নিয়ে ভারতের আভ্যন্তরীন সমন্বয়হীনতা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। পানিবন্টন চুক্তিতে ভারতকে তাগাদা দিয়েছি এবং দ্বিপাক্ষিক অনিষ্পন্ন ইস্যু নিষ্পত্তির বিষয়ে ভারতের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

বৈঠকে সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ট্যারিফ বাধা দূর করা, সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি-বিএসএফের ভূমিকা বাড়ানো, দ্রুত সেপা চুক্তি করা, গঙ্গা চুক্তি নবায়নের প্রক্রিয়াসহ আঞ্চলিক পর্যায়ে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে একমত হয়েছে উভয় দেশ। এছাড়া পর্যটকদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজিকরণের পাশাপাশি এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানেও ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। 

নেপাল-ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে সহযোগিতা করবে ভারত। তবে তারা বলেছে, বাংলাদেশের ট্রান্সমিশন লাইনের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব